আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: পৌষের শেষে শীতের তীব্রতা জেঁকে বসেছে তার উপর সূর্যীমামার দেখা মেলা ভার কদিন ধরে। কনকনে ঠান্ডায় কিছুটা উপশম পাওয়ার আশায় ছোট, বড়, বয়ষ্কদের জন্য বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক কিনতে বিভিন্ন শপিংমল ও ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান গুলোতে ভিড় করছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ।
শীতবস্ত্র কিনতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের লোকজনকে উপজেলার প্রধান বাজারের বিভিন্ন সড়কের ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানে অথবা জামতৈল রেলস্টেশন সংলগ্ন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা যায়। এসব দোকানে এখন প্রায় প্রতিদিনই ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। অল্প আয়ের মানুষেরা স্বল্পমূল্যে শীতের পোশাক কেনার আশায় এসব জায়গায় ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।
শীতের পোশাকের জন্য মধ্যবিত্তদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য স্থানীয় শপিং মল এবং জেলা শহরের মার্কেটগুলো। উপজেলার দসশিকা গ্রামের বাসিন্দা রকিবর মন্ডল তার স্ত্রীর জন্য গরম সোয়েটার কাপড় কিনতে ফুটপাত মার্কেটে এসেছেন। তিনি বলেন, কদিন ধরে খুব শীত তাই বাড়িওয়ালির জন্য সোয়োটার কিনমু।
তবে এক্ষেত্রে ক্রেতাদের অভিযোগ, শীত বেড়ে যাওয়ার সুযোগে বিক্রেতারা গত বছরের শীতের পোশাক বিক্রির সুযোগ নিচ্ছেন এবং শীতের পোশাকের দাম বেশি চাইছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, মানসম্পন্ন পণ্য কিনতে দামটা একটু বেশি লাগছে।
ফুটপাতের কম্বল ব্যবসায়ী ফজল প্রামানিক বলেন, বিভিন্ন সাইজের মানভেদে ও কোয়ালিটিতে কম্বলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে ভেড়াকম্বল ৬০০ টাকা, কম্বল ৩০০ টাকা, ফ্রেস কম্বল ২৫০ টাকা। সিঙ্গেল কম্বল ১২০ টাকা। ক্রেতা ভালো মানের পণ্য কিনতে চাইলে একটু বেশি মূল্য দিতে হবে। কিন্তু কিছু গ্রাহক ভালো মানের পণ্য চাইলেও উপযুক্ত মূল্য দিতে নারাজ।
সরেজমিনে জামতৈল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন শপিং মলে মানভেদে একেকটি জ্যাকেট ১,২০০ টাকা থেকে ৪,৫০০ টাকায় এবং সোয়েটার ৬০০ টাকা থেকে ১,৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । তবে এক্ষেত্রে মূলত তরুণরাই বেশী দোকানের ক্রেতা।#
ছবির ক্যাপশন: প্রচন্ড শীতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষজন শীতের পোশাক কিনতে দেখা গেছে শনিবার কামারখন্দের জামতৈল বাজারের বিভিন্ন ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকান গুলোতে।